নিজস্ব সংবাদদাতা, সায়েদাবাদ
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন নামের কুলাঙ্গার নাস্তিক সহ এম ডি রফিকুল ইসলাম, জারিন সুলতানা সান্দ্রামনি, এম ডি সায়েম, আনিকা হক মল্লিক, মিজানুর রহমান, এম ডি মাহাদি হাসান, রুমানা আফরোজ রাখি, জাওয়াদ নির্ঝর, উম্মে কুলসুম নারগিস বানু, নুর মোহাম্মদ, জনি জোসেফ কস্তা, হাসান তাওহীদ, জোবায়ের হোসেন, মোহাম্মদ ওমর সানী, নুরুল ফারুক শাকের, সুবর্ণা রহমান, আরিফুল হক আরিফ, এম ডি মিরাজ মিয়া, মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান, এম ডি জিল্লুর রহমান, আবু সাঈদ, বিপ্লব পাল, অনুপমা হাসান ইসলামের নবী ও মুসলিম বিশ্বের নেতা নবী করীম হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নিয়ে ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ ও অশালীন মন্তব্য করবার প্রতিবাদে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকায় হেফাজতের কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে। এই মিছিলে নাস্তিক মুরতাদদের নেতা মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন সহ আর যারা যারা রাসুল কে নিয়ে নোংরামি করেছে তাদের সকলের বিরুদ্ধেই ধর্মপ্রাণ জনতা রাস্তায় নেমে আসেন |
এদিকে মিছিল এবং সমাবেশে থাকা কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা সাংবাদিকেদের জানান যে, ‘‘বর্তমানে নাস্তিক এবং কিছু নব্য ব্লগারদের উৎপাত এতটাই বেড়েছে যে এগুলো মেনে নেওয়া কোনও মুসলমানদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদের কলিজার টুকরা হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে নিয়ে কেউ কিছু বললে তাকে এই পৃথিবী থেকে বিদায় করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব|
তাদের মধ্যে আর একজন ইসলামী ব্যক্তিত্ব মুফতি ফজলুর রহমান বলেন, ‘‘নাস্তিকদের গালি দিলে কারও গায়ে লাগলে আমার করার কিছু নাই। আল্লাহর দেশে থাকতে হলে আল্লাহকে না দেখে আল্লাহর অস্তিত্ব মানতে হবে, না হলে তুমি আল্লাহর দেশে থাকতে পারবে না।
এ বিষয়ে হেফাজতের নেতা হৃদয় কাজীর সাথে কথা হলে তিনি আমাদের বলেন ‘এইসব নাস্তিক কুকুরদের কথা একজন মুসলিম হিসেবে মেনে নিতে পারিনি এবং আমি মনে করি এদেরকে কতল (হত্যা) করা আমার এবং আমাদের সকল মুসলিমদের ওপর ওয়াজিব হয়ে গেছে’
হেফাজেত ইসলামে এক কর্মীর কাছে বিক্ষোভ মিছিলের বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি আমাদের বলেন যে, সমস্ত ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক-মুরতাদ যারা আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহ এবং আমাদের ধর্ম নিয়ে ব্যঙ্গ করবে, গালি-গালাজ করবে, কটূক্তি করবে তারা সবাই আমাদের টার্গেট। ইনশাআল্লাহ আমরা তাদের হত্যা করবো।
সর্বশেষ , মুফতি আহমদ উল্লাহ জিহাদী উপস্থিত থাকা দ্বীনদার ভাইদের উদ্দেশে বলেন যে, ‘যদি কোন মুসলিম মুরতাদ হয়ে যায় এবং মুরতাদের সকল শর্ত তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় (সুস্থ- মস্তিস্ক, বালেগ, স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির অধিকারী হওয়া) তাহলে তার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হবে এবং ইমাম তথা মুসলমানদের শাসক অথবা তাঁর প্রতিনিধি যেমন বিচারক তাকে হত্যা করবে। তাকে গোসল করানো হবে না, তার জানাযা-নামায পড়ানো হবে না এবং তাকে মুসলমানদের গোরস্থানে দাফন করা হবে না|
এই সময়ে হেফাজতের কর্মীরা নাস্তিক ও মুরতাদ এইসব ব্লগারদের উচিৎ শিক্ষা দেবার শপথ নেন।